পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেছেন, ঢাকা থেকে রাষ্ট্রদূত প্রত্যাহারের কোনো খবর তুরস্ক সরকারের পক্ষ থেকে বাংলাদেশকে জানানো হয়নি।
যুদ্ধাপরাধী মতিউর রহমান নিজামীর ফাঁসির প্রতিবাদে তুরস্ক তাদের রাষ্ট্রদূতকে ফিরিয়ে নিয়েছে বলে বার্তা সংস্থা রয়টার্স খবর দেওয়ার ঘণ্টা তিনেক পর পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী এ কথা বলেন।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “এ বিষয়ে আমাদের কাছে অফিশিয়ালি বা আনঅফিশিয়ালি কোনো তথ্য নেই।”
প্রতিমন্ত্রী বলেন, “ওই রাষ্ট্রদূত আমাদের জানিয়েছেন, তিনি দেশের বাইরে যাচ্ছেন। তার অবর্তমানে কে দায়িত্ব পালন করবেন সে কথাও আমাদের জানিয়েছেন।
রাষ্ট্রদূত ডেভরিম ওসতুর্ক ২০১৫ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ঢাকায় দায়িত্ব পালন করে আসছেন। তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রেসেপ তায়েপ এরদোয়ান নিজেই তাকে ডেকে পাঠানোর কথা জানিয়েছেন বলে বৃহস্পতিবার দুপুরে খবর দেয় রয়টার্স।
আঙ্কারার কূটনৈতিক সূত্রের বরাত দিয়ে তুরস্কের রাষ্ট্রায়ত্ত বার্তা সংস্থা আনাডলুর খবরেও বলা হয়, নিজামীর ফাঁসি পরবর্তী পরিস্থিতি পর্যালোচনার জন্য ঢাকা থেকে রাষ্ট্রদূতকে ডেকে পাঠিয়েছে সে দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
ডেভরিম ওসতুর্ক বৃহস্পতিবারই আঙ্কারায় ফিরতে পারেন বলে আনাডলুর খবরে জানানো হয়।
বুধবার প্রথম প্রহরে ঢাকায় নিজামীর ফাঁসি কার্যকরের পর তীব্র নিন্দা জানিয়ে একটি বিবৃতি দেয় তুরস্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। ফাঁসির প্রতিবাদে তুরস্কে বিক্ষোভও হয়।
নিজামীর ফাঁসির খবরে ‘গভীর দুঃখ’ প্রকাশ করে বিবৃতিতে বলা হয়, তার ‘এ ধরনের শাস্তি প্রাপ্য ছিল বলে’ তুরস্ক মনে করে না।
যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালে দণ্ডিতদের ফাঁসি কার্যকর ঠেকাতে গত তিন বছরে বার বার বাংলাদেশের প্রতি আহ্বান জানানোর বিষয়টি তুলে ধরে বিবৃতিতে বলা হয়, “তুরস্ক মনে করে, এ ধরনের পদ্ধতিতে অতীতের ক্ষত নিরাময় সম্ভব নয়, বরং তা আমাদের বাংলাদেশি ভাইদের মধ্যে ঘৃণা ও শত্রুতা আরও বাড়িয়ে দেবে।”
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “বাংলাদেশ ও তুরস্কের মধ্যে দীর্ঘদিনের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে। কোনো দেশের অভ্যন্তরীণ কোনো বিষয় এ সম্পর্কে ব্যত্যয় ঘটাতে পারবে না।”
যুদ্ধাপরাধীদের বিচার নিয়ে তুরস্কের বিরোধিতার বিষয়ে তিনি বলেন, “এ বিচারের বিষয়ে এর আগেও তুরস্ক কিছু প্রশ্ন তুলেছিল। আমরা তাদের যথাযথ জবাব দিয়েছি।”