কলরেট ৬০ পয়সা প্রতি মিনিট

25
500

মারিয়া পত্রিকায় দেখলো গ্রামীনফোনের ৬০ পয়সা কলরেটের বিজ্ঞাপন। বেচারি এতদিন ১ টাকার বেশি কলরেট থাকায় মোবাইল ফোন ব্যবহার থেকে বিরত ছিল। ভাবলো এবার না হয় একটা ফোন কেনা যায়। আর তাই বেতন থেকে জমানো ২০০০ টাকা দিয়ে একটি সেট কিনে নিয়ে আসল। শুরু হল তার ৬০ পয়সা রেটে কথা বলা। এই ভাবে চললো তিন বছর। হঠাৎ একদিন সে আবিষ্কার করল সবকিছু ঠিক থাকা সত্বেও তার মোবাইল দিয়ে ক্লিয়ার কথা শুনা যায়না। বিষয়টা নিয়ে কথা বলার জন্য যে দোকান থেকে মোবাইল কিনেছিল সেখানে নিয়ে গেল। তারা তাকে জানালো ওয়ারেন্টি এবং টকটাইম উভয় শেষ হয়ে যাওয়ার কারনে এটা হওয়া স্বাভাবিক। ওয়ারেন্টির ব্যাপারটা বুঝলেও টকটাইমের বিষয়টা মাথায় ঢুকলোনা মারিয়ার। দোকানদারকে অনুরোধ জানালো বিষয়টা খুলে বলার জন্য। তারা তাকে জানালো প্রতিটা মোবাইল সেটের একটা নিদির্ষ্ট টকটাইম লিমিট থাকে। ওই লিমিট পেরিয়ে গেলে সেটা আর ঠিকমতো কাজ করেনা। তখন নানান সমস্যা দেখা দেয়। আর সেটা ঠিক করাও সম্ভব হয়না। বাসায় এসে সে তার মোবাইলের টোটাল কল টাইম চেক করলো। ইনকামিং এবং আউটগোয়ি মিলিয়ে যার যোগফল হল ১৩৪ ঘন্টা। ওই ১৩৪ ঘন্টাকে সে ৬০ দিয়ে গুন করে দেখলো টোটাল মিনিট হচ্ছে ৮০০০ এর উপরে। এবার ৮০০০ মিনিটের সাথে সে সেটের ২০০০ টাকার অংক কষতে লাগলো। দেখা গেল মিনিট প্রতি তার আরো ২৫ পয়সা যুক্ত হচ্ছে। মারিয়ার মোবাইলের কলরেট রাতারাতি ৬০ পয়সা থেকে বেড়ে মিনিট প্রতি ৮৫ পয়সায় দাড়ালো। ভ্যাটসহ আবার ওই ৮৫পয়সা ১টাকার উপরে চলে গেল তাও আবার বিদ্যুৎ বিল বাদে। মারিয়ার মাথায় হাত! আচ্ছা মারিয়া যদি এখন ২০০০ টাকার সেট না কিনে ৫০০০০ টাকার সেট কিনতো তখন তার কলরেট মিনিট প্রতি কত দাড়াতো? কে বলছে মানুষ এখন আর ৭ টাকা রেটে কথা বলেনা।

25 COMMENTS

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here