আমরা প্রত্যেকে দুর্দান্ত গতির ইন্টারনেট পেতে ভালোবাসি, আর এই জন্য টেলিকম কোম্পানিদের ইন্টারনেট স্পীড আরো বৃদ্ধি করার প্রযুক্তির উপর কাজ করার প্রয়োজন পড়ছে। স্মার্টফোন থেকে শুরু করে গাড়ি, স্মার্ট ঘড়ি, বাড়ি ইত্যাদি সব কিছুতেই ইন্টারনেট অতি প্রয়োজনীয় হয়ে পড়েছে এবং অবশ্যই সাথে এগুলো আরো বেশি ব্যান্ডউইথ খরচ করছে। তাই ওয়্যারলেস ইন্টারনেটকে আরো সমৃদ্ধ করতে এবং একসাথে আরোবেশি ব্যান্ডউইথ ব্যবহার উপযোগী করে তুলতে ৫জি কিছু অসাধারণ প্রযুক্তি নিয়ে আমাদের সামনে হাজির হয়েছে। তবে একজন টেকি ব্যক্তি হওয়ার কারণে আপনার অবশ্যই জানা প্রয়োজন —কি নতুন রয়েছে এই প্রযুক্তিতে? এটি ৩জি বা ৪জি থেকে কতটা আলাদা? নাকি শুধুই মোবাইল অপারেটরদের কাছে আরেকটি মার্কেটিং টার্ম?
৫জি কি?
এখানে “জি” অর্থে অবশ্যই “জেনারেশন” কে বোঝানো হয়, আর ওয়্যারলেস কোম্পানিরা সেই হিসেবে ১জি থেকে তাদের যাত্রা শুরু করে ছিল। এরপরে আসে ২জি যেখানে প্রথমবারের মতো দুইটি মোবাইল ডিভাইজের মধ্যে টেক্সট ম্যাসেজ পাঠানো সম্ভব হয়েছিলো। তারপরে এসেছিলো ৩জি, যা টেক্সট ম্যাসেজ, কল, ইন্টারনেট ইত্যাদি আগের তুলনায় একটু ভিন্নভাবে ব্রাউজ করার সুবিধা করে দিয়েছিল। ৪জিতে ৩জির সব সুবিধাই বিদ্দমান রয়েছে, শুধু আরো স্পীড বৃদ্ধি করে দেওয়া হয়েছে, যাতে সহজেই যেকোনো বড় সাইজের ফাইল শেয়ার এবং একসাথে অনেক গুলো ডিভাইজ কানেক্ট করা সম্ভব হয়। এরপরে ৪জিকে আরো দ্রুত করার জন্য এলটিই প্রযুক্তি সামনে চলে আসে, যেটা ৪জি প্রযুক্তিকে করেছিলো আরো সমৃদ্ধ।
যেখানে আরো বেশি ডিভাইজকে একত্রে কানেক্ট করানোর প্রশ্ন আসছে এবং যেখানে প্রয়োজনীয়তা বাড়ছে আরো বেশি ব্যান্ডউইথ ব্যবহারের সেখানে অবশ্যই এমন কোন প্রযুক্তি প্রয়োজন যা আরো বেশি ব্যান্ডউইথ কন্ট্রোল করার ক্ষমতা রাখে। আর বলতে পারেন মূলত এই বিষয়ের উপর লক্ষ্য করেই ৫জি প্রযুক্তির যাত্রা শুরু।
বর্তমান ৪জি প্রযুক্তি থেকে ৫জিতে ব্যান্ডউইথ স্পীড কয়েকগুনে বেশি। সাধারনভাবে এই প্রযুক্তিতে ১-১০+ গিগাবিট/সেকেন্ড স্পীড পাওয়া সম্ভব এবং সবচাইতে মজার ব্যাপার হচ্ছে এতে থাকবে মাত্র ১ মিলি সেকেন্ডের লেটেন্সি। তো বুঝতেই তো পারছেন, ৫জি প্রযুক্তি ব্যবহার করে কীভাবে অনেকটা নাটকীয় রূপে ইন্টারনেট স্পীড বৃদ্ধি পেয়ে যাবে! এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে সহজেই ৪কে ভিডিও ডাউনলোড বা আপলোড করা সম্ভব হবে এবং যারা গেমার রয়েছেন তাদের জন্য যুগান্তকারী পরিবর্তন আসতে চলেছে। ৫জি প্রযুক্তিতে আরেকটি বিরাট ফিচার হচ্ছে এটি ৯০% কম এনার্জি ব্যয় করে কাজ করবে। যারা ৩জি বা ৪জিতে সেলুলার ইন্টারনেট ব্যবহার করেন তারা নিশ্চয় জানেন যে, ইন্টারনেট কানেক্ট হওয়ার পড়ে কতো দ্রুত চার্জ ফুরিয়ে যায়। কিন্তু ৫জিতে এমনটা হবে না, এই প্রযুক্তি ব্যবহারে অনেকটা ওয়াইফাই ব্যবহার করার মতো চার্জ ব্যয় হতে পারে।
সাথে ৫জি প্রযুক্তি প্রদান করছে প্রচণ্ড পরিমানে ব্যান্ডউইথ ইউজ করার ক্ষমতা—এখন মোবাইল অপারেটররা আমাদের কতোটুকু দিবে সেটা তাদের উপর নির্ভর করবে। আর যেহেতু ৫জিতে প্রশ্ন আসে ব্যান্ডউইথ নিয়ে, তাহলে এখন আশা করা যায় মোবাইল ইন্টারনেট কোম্পানিরা আর ২০০-৩০০ টাকাই ১জিবি বিক্রির কথা চিন্তা করবে না, তাদের ব্যান্ডউইথের দাম কমাতেই হবে, তাছাড়া পাবলিক এতো ব্যান্ডউইথ খরচ করবে কীভাবে? আর যদি আমরা সত্যিই অনেক ভাগ্যবান হয়ে থাকি তবে ৫জি আসার পরে মোবাইল ইন্টারনেটে সত্যিকারের আনলিমিটেড প্ল্যান দেখতে পাওয়া যেতে পারে এবং হ্যাঁ অবশ্যই ফেয়ার ইউজ পলিসি বাদ দিয়ে।
কীভাবে কাজ করে?
যখন আপনি সেলফোন ব্যবহার করে কাওকে কল করেন কিংবা কাওকে কোন ম্যাসেজ করেন, তখন আপনার সেলফোন থেকে একটি ইলেক্ট্রো ম্যাগনেটিক তরঙ্গ বেড় হয়ে আপনার নিকটস্থ সেলফোন টাওয়ারে আঘাতহানে। সেলফোন টাওয়ার সেই সিগন্যালকে আপনার বন্ধুর ফোন পর্যন্ত পৌঁছে দিতে সাহায্য করে। শুধু কল করা বা টেক্সট ম্যাসেজ নয়, আপনি যখন অন্যান্য যেকোনো ডাটা (যেমন— ফটোস, ভিডিওস) সেন্ড বা রিসিভ করেন তখনও ঠিক একই পদ্ধতিতে কাজ হয়।
সাধারণত নতুন কোন ওয়্যারলেস প্রযুক্তি আসার পরে সেই প্রযুক্তিকে ঠিকঠাক হ্যান্ডেল করার জন্য হাইয়ার রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি ব্যবহার করা হয়। বর্তমানে ৪জি প্রযুক্তি অপারেট করতে ২০ মেগাহার্জ পর্যন্ত রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি ব্যবহার করা হয়। কিন্তু ৫জিতে, ৬ গিগাহার্জ পর্যন্ত রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি বাড়িয়ে কাজ করানো যাবে। নতুন ওয়্যারলেস প্রযুক্তি সর্বদা বেশি রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি ব্যবহারের কারণ হলো এতে এটি আরোবেশি ব্যান্ডউইথ ট্র্যান্সফার করার ক্ষমতা প্রদান করে। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি বাড়ালে ব্যান্ডউইথ স্পীড তো বৃদ্ধি পায় কিন্তু সাথে সাথে রেডিও সিগন্যালের রেঞ্জ কমে যায়। এজন্য অনেক গুলো ইনপুট এবং আউটপুট এন্টেনা ব্যবহার করে সিগন্যালকে বুস্ট করিয়ে কাজ করা হয়।
শুধু হাই ব্যান্ডউইথ নয়, এই প্রযুক্তি একত্রে অনেক গুলো ডিভাইজকে কানেক্ট করে রাখার জন্যও বিশেষভাবে ডিজাইন করা হয়েছে। চিন্তা করে দেখুন ইন্টারনেট অফ থিংগস এর কথা যেখানে আপনার বাড়ির প্রত্যেকটি ইলেক্ট্রনিক্স ডিভাইজ বা ইলেক্ট্রিক্যাল ডিভাইজ একসাথে একে অপরের সাথে কানেক্টেড থাকবে। ৩জি বা ৪জির মতো ৫জি প্রযুক্তি শুধু সেলফোন পর্যন্তই সিমাবদ্ধ নয়। আপনার ভার্চুয়াল রিয়্যালিটি হেডসেটেও ৫জি চিপ লাগানো যেতে পারে এবং আপনার কম্পিউটারেও একটি চিপ লাগানো থাকবে ফলে ডিভাইজ দুইটি সহজেই একই প্রযুক্তি ব্যবহার করে একে অপরের সাথে সম্পর্ক স্থাপন করতে পারবে। ৫জি প্রযুক্তি শুধু ফোন আর সেলফোন নেটওয়ার্কে নয় বরং ওয়াইফাই এর মতো যেকোনো ডিভাইজে থাকতে পারে ডিভাইজ দুইটিকে কানেক্টেড করার জন্য।
৫জি কখন আসবে?
আশ্চর্য হওয়ার কিছু নেই—কেনোনা এই প্রযুক্তি আমাদের মাঝে অলরেডি এসেই গেছে এবং অ্যামেরিকার কিছু স্থানে টেস্ট করার জন্য এই সেবা চালু করে দেওয়া হয়েছে। এই সপ্তাহে ভ্যারিজন নামক বৃহৎ মোবাইল অপারেটর ৫জিকেঅ্যামেরিকার কিছু স্টেট যেমন- টেক্সাস, অরেগন, এবং নিউ জার্সিতে ট্র্যায়াল সেবা প্রদান করার ঘোষণা করেছে। তাছাড়া এটিঅ্যান্ডটি নামক আরেকটি মোবাইল অপারেটর ৫জিকে ট্র্যায়াল হিসেবে প্রদান করার আগে নিজেদের ল্যাবে পরীক্ষা চালানোর কথা নিয়ে ভাবছে।
যদিও জাতির এই বিশাল বড় দুইটি ইন্টারনেট কোম্পানি এবং মোবাইল অপারেটর ইতিমধ্যেই ৫জি সেবা চালুর কথা ভাবছেন তারপরেও আমাদের জন্য এটি এতো সকালে আশা করা ঠিক হবে না। আমাদের বলতে আমি ওয়ার্ল্ডওয়াইড ভাবে বুঝিয়েছি, বাংলাদেশে নয় (আরে ভাই ৩জি ই ভালো করে পেলাম না, তারপরে আছে ৪জি, আর ৫জি তো স্বপ্ন)। যাইহোক, বেশিরভাগ বিশেষজ্ঞগনের মতে ২০২০ সালের আগে এই প্রযুক্তি ওয়ার্ল্ডওয়াইড ভাবে লভ্য হবে না। তবে আশা রাখা যায়, ২০২০-২০৩০ সালের মধ্যে অনেক দেশের অনেক অপারেটর এই নতুন প্রযুক্তির উপর কাজ করবে।
ভবিষ্যৎ?
এই প্রযুক্তি যে মোবাইল ইন্টারনেট প্রযুক্তির সু-নিশ্চিত ভবিষ্যৎ গড়ে দেবে এতে কোন সন্দেহ নেই। হাই ব্যান্ডউইথ হ্যান্ডেল করার ক্ষমতা থাকার কারণে হতে পারে এই প্রযুক্তি শুধু মোবাইল ইন্টারনেট নয় বরং হোম ইন্টারনেটেও নিজের জায়গা দখল করে নেবে।আপনাকে একগাদা তারের সাথে পেঁচিয়ে আর ইন্টারনেট ব্যবহার করতে হবে না। যেকোনো হাই এন্ড কাজ কর্ম মোবাইল ইন্টারনেট থেকেই সম্ভব হয়ে উঠবে। গ্রামিন এলাকার কথা চিন্তা করে দেখুন, যারা হাই স্পীড ইন্টারনেট ব্যবহার করার সুবিধা থেকে বঞ্চিত থাকে—কারণ ইন্টারনেট কোম্পানিরা কোটি টাকা খরচ করে গ্রামিন এলাকাতে ব্রডব্যান্ড ক্যাবল, বা ফাইবার অপটিক ক্যাবল প্রদান করতে সক্ষম হোন না। ৫জি প্রযুক্তি চলে আসার পরে গ্রামিন লোকেরাও গিগাবিট/সেকেন্ড ইন্টারনেট ব্যবহার করার সুবিধা পেতে পারবে এবং ইন্টারনেট অপারেটরদের আর তার বিছানোর প্রয়োজনীয়তা থাকবে না।
অপরদিকে মোবাইল ইন্টারনেটের লেটেন্সি অনেক গরিব—সেখানে ১মিলি সেকেন্ড লেটেন্সির সাথে এই প্রযুক্তি গেমারদের জন্য জনপ্রিয় হতে পারে। আপনি যদি অনলাইন গেমিং করে থাকেন তবে অবশ্যই লেটেন্সির মর্ম বুঝে থাকবেন। তাছাড়া যখন একটি ডিভাইজ আরেকটির সাথে কানেক্টেড থাকবে, এমনকিছু সময়ে লেটেন্সি অনেক বড় ভূমিকা রাখতে পারে। যেমন উদাহরণ স্বরূপ ধরুন সেলফ ড্রাইভিং কারের কথা, যেখানে একটি সেলফ ড্রাইভিং কারের সাথে আরেকটির কানেক্টেড থাকার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে, সেখানে কয়েক মিলি সেকেন্ডের বেশি লেটেন্সি প্রাণ ঘাতি প্রমানিত হতে পারে। ৫জি প্রযুক্তি প্রত্যেকটি ডিভাইজের নিজেদের মধ্যে আরো পারফেক্ট সংযোগ স্থাপনে সাহায্য করতে পারে।
এই প্রযুক্তি অনেক কম এনার্জি ব্যবহার করার কারণে আপনার ফোন আরো বেশি পাওয়ার ধারণ করে রাখতে সক্ষম হবে। শুধু ফোন নয় বরং সকল ডিভাইজ যেগুলো আপনি ইন্টারনেটের সাথে কানেক্টেড করতে চান, সেগুলোর চার্জ আরো বেশি লাস্টিং করবে। তাছাড়া এই হাই স্পীড নেটওয়ার্ক প্রযুক্তি আপনার জীবনকে আরো বেশি সহজ করে তুলবে। জাস্ট ৫জি মোডেম আপনার কম্পিউটার বা রাউটারের সাথে কানেক্ট করুন আর উপভোগ করতে থাকুন গিগাবিট/সেকেন্ড ইন্টারনেট। এমনকি বর্তমানে কোয়ালকম এবং ইনটেল ৫জি মোডেম তৈরি করার জন্য চিপ তৈরি করতে আরম্ভ করেছে।
তাছাড়া যেহেতু এই প্রযুক্তি শুধু ফোন এবং সেল টাওয়ার নয় বরং যেকোনো ডিভাইজের সাথে থাকতে পারে এতে হতে পারে আপনার কম্পিউটারে থাকা ৫ জি চিপ থেকে ডাটা ট্র্যান্সমিট করে আপনার ফোনে, ট্যাবলেটে, টিভিতে ডাটা সিঙ্ক করা সম্ভব হবে। আবার হতে পারে একটি গেমিং কনসোল দিয়ে একসাথে একাধিক টিভি চালাতে পারবেন স্মুথ ভাবে।
শেষ কথা
ভাবতেই পারছেন, এই প্রযুক্তির ভবিষ্যৎ সম্ভবনা গুনে শেষ করার মতো নয়। যেখানে ওয়্যারলেস প্রযুক্তিতে ১০০ গিগাবিট/সেকেন্ড স্পীড পাওয়া যেতে পারে সেখানে হতে পারে একসময় তারের কানেকশন সম্পূর্ণ রিপ্লেস হয়ে যাবে। হতে পারে কয়েক বছর পরে আপনাদের প্রায় প্রত্যেকের ফোনে ৫জি সেবা ব্যবহৃত হবে এবং হতে পারে আপনার বাড়ির ফ্রিজটিও এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে ইন্টারনেটে সংযুক্ত থাকবে। হতে পারে স্মার্ট রোড বা স্মার্ট সিটির মতো টার্ম গুলো আমাদের সামনে আসতে পারে। সুতরাং এক কথায় বলতে ৫জি প্রযুক্তি আমাদের ওয়্যারলেস ভাবে আরো বেশি ব্যান্ডউইথ সাথে লো লেটেন্সি এবং একসাথে অনেক ডিভাইজ কানেক্টেড রাখার সুবিধা প্রদান করবে। আশা করছি ৫জি নিয়ে আজকের আর্টিকেলটি আপনার অনেক ভালো লেগেছে, কেনোনা আমি সম্ভবত প্রায় সকল বিষয় নিয়েই আলোচনা করেছি। আপনার যেকোনো প্রশ্ন থাকলে আমাকে নিজে টিউমেন্ট করে জানাতে পারেন। সাথে অবশ্যই অবশ্যই টিউনটি শেয়ার করুন!
ক্রেডিট- TecHubs.Net
lipitor 10mg ca atorvastatin 20mg drug order atorvastatin 80mg pill
order atorvastatin 10mg pills brand atorvastatin 20mg atorvastatin 80mg price
oral ciprofloxacin 1000mg – buy ethambutol 1000mg generic order augmentin generic
glucophage for sale online – lamivudine drug lincocin us
zidovudine buy online – zyloprim 100mg cheap
order clozapine pill – cost frumil 5mg order famotidine 40mg for sale
zidovudine 300 mg usa – epivir 100mg brand allopurinol pills
buy clozapine 50mg online cheap – altace 5mg over the counter buy pepcid 20mg online cheap
buy cheap anafranil – cost remeron buy doxepin 75mg generic
buy seroquel paypal – order geodon 80mg without prescription eskalith sale
clomipramine 25mg pill – order tofranil 75mg buy sinequan 25mg online
order atarax 25mg generic – fluoxetine 20mg uk buy cheap generic endep
order hydroxyzine 25mg generic – buy buspar online cheap brand endep 25mg
how to get augmentin without a prescription – ampicillin online order buy ciprofloxacin cheap
clavulanate tablet – buy linezolid 600 mg generic order cipro 1000mg without prescription
order generic amoxicillin – cefadroxil 250mg pill cipro online buy
amoxil cost – trimox 250mg over the counter buy baycip pill
cost zithromax 500mg – floxin 400mg tablet ciplox 500mg us
buy cleocin 150mg without prescription – purchase chloromycetin online chloromycetin online order
buy azithromycin paypal – floxin sale buy generic ciprofloxacin
clindamycin tablet – buy chloromycetin tablets chloromycetin order online