আজকাল তথ্য প্রযুক্তির যুগে সব থেকে মুনাফাজনক ব্যবসা ক্ষেত্র হচ্ছে তথ্য প্রযুক্তির গেজেট বিক্রি করা। আর সময়ের সাথে সাথে এই ইলেক্ট্রনিকস মাকের্টের কনজিউমারগুলো প্রতিনিয়ত পরিবর্তন হচ্ছে। প্রতিনিয়ত নতুন নতুন প্রযুক্তির গেজেট বাজারে আসছে এবং এইসব গেজেট প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকেও তাদের নতুন গেজেটের বিক্রির দিকটাকেও দেখতে হচ্ছে।
মাকের্টিং স্ট্যাস্টেজিতে পরিবর্তন এনে বিভিন্ন কৌশলে নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের কাস্টমারদেরকে নতুন গেজেটের ব্যবহারের জন্য অনুপ্রেরণা জাগাচ্ছেন। এই কৌশলের ফাঁদে পরে অনেকেই তাদের পুরাতন রানিং গেজেটগুলোকে রেখেই নতুন গেজেট কিনে নিচ্ছেন। আজকের টিউনকে আমি এই নতুন মাকের্টিং স্ট্যাস্টেজি নিয়ে আলোচনা করবো! আজকের টিউনে আমি ১০ ধরণের পদ্ধতির কথা বলবো যেখানে ইলেক্ট্রনিক পণ্যগুলো তৈরিই করা হয় সহজে নস্ট হবার জন্য!
সহজ ভাষায় বলতে গেলে, একটি প্রতিষ্ঠান যদি প্রতি ৩ বছর অন্তর অন্তর একজন কাস্টমারের কাছে একটি ফোন বিক্রি করে যে লাভ করবে, ঠিক একই ফোন ১ বছর পর পর বিক্রি করলে প্রতিষ্ঠানের লাভ বেশি হবে। এই কৌশলকে কাজে লাগিয়ে বর্তমান যুগের অনেক ইলেক্ট্রনিক নির্মাতা প্রতিষ্ঠান তাদের পণ্যের জীবনায়ু কমিয়ে দিয়ে বিক্রির পরিমাণ বাড়ানোর চেষ্টা করছেন! বাস্তব উদাহরণ দিচ্ছি: আজ থেকে ১০ বছর আগেও টিভি, ফ্রিজ, ফ্যান, এসি ইত্যাদি ইলেক্ট্রনিক পণ্যগুলোর লম্বা লম্বা সময়ের গ্যারান্টি ওয়ারেন্টি দিয়ে (৮ বছর বা ১০ বছরের) বিক্রি করা হতো।
একটি টিভি, ফ্রিজ কিংবা এসি কিনার পর ২ / ৩ বছর পরেই এই টিভি ফ্রিজ এসির নতুন নতুন মডেল বাজারে এসে যাবে। আর একই জিনিস বেশিদিন ধরে ব্যবহার করতে কারোই ভালো লাগবে না। এই কৌশলকে কাজে লাগিয়েই চীন দেশীয় পণ্যগুলোকে তৈরি করা হচ্ছে এবং তাদের ইলেক্ট্রনিক পণ্যগুলো দুনিয়া মাতাচ্ছে। চীন দেশীয় টিভি ফ্রিজ এসিতে গ্যারান্টির নিশ্চয়তা দেওয়া হয়নি কিন্তু বাজেরর নামী দামী ব্যান্ডের টিভি ফ্রিজ এসির একই সুবিধাসম্পন্ন দিয়ে তাদের থেকে প্রায় অর্ধেকমূল্যে তারা তাদের পন্যগুলো বাজারজাত করছে।
কমদামী এসব গেজেড কিনে মানুষজন বছরখানেক ব্যবহার করার পরই এগুলোতে সমস্যা দেখা দেয় আর তারই মধ্যে বাজারে নতুন মডেলের পন্য চলে আসে! এভাবেই আজকাল ইলেক্ট্রনিক বাজারে কৌশলের মাধ্যমে বিভিন্ন নিমার্তা প্রতিষ্ঠান ব্যবসায় মুনাফা কামিয়ে নিচ্ছেন। আর এই কৌশলের বাস্তবায়নের ফলে ইঞ্জিনিয়াররা তাদের পণ্যগুলোতে টেকসই বিষয়টাকে এড়িয়ে গিয়ে বেশি বিক্রির বিষয়টিকে প্রাধান্য দিচ্ছেন। তো চলুন চলে যাই আজকের টিউনে:
১০) ভাঙ্গা ডিসপ্লে গ্লাস:
মোবাইল ফোনগুলো হাত থেকে পড়ে যাবার চান্স বেশি থাকে। আর হাত থেকে পড়ে গিয়ে মোবাইল ফোনে যে ক্ষতিটা বেশি হয় তা হলো ডিসপ্লে গ্লাস ভেঙ্গে যাওয়া। কিন্তু বর্তমান যুগের ম্যানুফ্যাকচার কোম্পানিগুলো তাদের ফোনের ওয়ারেন্টি নীতিমালায় ভাঙ্গা ডিসপ্লে গ্লাস নিয়ে কোনো প্রকার নীতি রাখেন না। এটি একটি কৌশল!
হাত থেকে পড়ে গিয়ে ডিসপ্লে গ্লাস ভেঙ্গে যাবার পর মোবাইলটি তার ফাংশনাল কাজ ঠিক ভাবে করলেও ব্যবহারকারীর মনে খুত খুত ভাব থেকে যায়। যার ফলে ব্যবহারকারী নতুন মোবাইল ফোন কিনতে উৎসাহ বোধ করে থাকেন। আজকাল অনেক ফোনের ব্যাক সাইডেও কাঁচের গ্লাসের ব্যবহার করা চালু হয়েছে। মানে হচ্ছে এবার সামনে পিছনে দুদিকেই গ্লাস ফাটবে! তাই আমরা বলতে পারি ডিসপ্লে গ্লাসগুলো তৈরিই করা হয় ফাটানোর জন্য!
৯) খুচরা পাটর্স বাজারে না পাওয়া:
এটি বিক্রি বাড়ানো আরেক ধরণের কৌশল! ধরুন অনেক দিন ধরে আপনি একটি গেজেট ব্যবহার করে আসছেন। হঠাৎ গেজেটের একটি দরকারি পার্টস নস্ট হয়ে গেল, কিন্তু গেজেটটি চলমান। যেমন ক্যামেরার ফ্ল্যাশ লাইট নস্ট হয়ে গেছে, কিন্তু ক্যামেরাটি দিয়ে ছবি তোলা যাচ্ছে।
গেজেটটি নিয়ে কাস্টমার সার্ভিসে গেলে তারা আপনাকে বলবে যে, এই গেজেটের ওই পার্টসটি আর পাওয়া যায় না! তখন কি করবেন? তখন বাধ্য হয়ে আপনাকে নতুন গেজেট কিনতে হবে! গেজেটে নির্মাতা প্রতিষ্ঠান খুচরা পার্টসের থেকে নতুন পণ্য বিক্রিতে অবশ্যই মুনাফা বেশি পায়! আর বর্তমান যুগে এই কৌশলের আরেকটি নতুন দিগন্ত এসেছে। তা হলো খুচরা পার্টসের দাম বাড়িয়ে দেওয়া!
৮) রিপেয়ারিং এর উচ্চমূল্য:
আজকাল অনেক মূল্যবান ইলেক্ট্রনিক গেজেটের রিপেয়ারিং কস্ট এতই বেড়ে গেছে যে অনেক সময় মনে হয় গেজেট রিপেয়ার করার খরচে আরো কিছু টাকা যুক্ত করলে নতুন গেজেট পাওয়া যায়! এটা বিক্রিয় বৃদ্ধির আরেকটি কৌশল! আমাদের অনেকেই আজকাল নিজে নিজেই তাদের গেজেটগুলো রিপেয়ারিং করে থাকেন। কিন্তু আজকালকার যুগের গেজেটগুলোর নির্মাণশৈলি বেশ জটিল। কিছু কিছু গেজেট খোলার জন্য আলাদা ধরণের যন্ত্রপাতির প্রয়োজন পড়ে। আবার গেজেট খুলার পর দেখা যায় যে নস্ট পার্টস আর বাজারে পাওয়া যায় না! তখন বাধ্য হয়েই ব্যবহারকারীকে নতুন গেজেট কিনে নিতে হয়।
উদাহরণ স্বরুপ আমার নিজের কথাই বলছি: বছর দুয়েক আগে আমার একটি আইপড ন্যানো ছিলো। সেটার ব্যাটারিতে সমস্যা হওয়ায় রিপেয়ারিং করতে ঢাকার বড় বড় %A@ X ানে গেলে তারা জানায় যে এই মডেলের ব্যাটারি বাংলাদেশে নেই, রিপেয়ারিং খরচ পড়বে ৬ হাজার টাকা কিংবা বিদেশ হতে নতুন ব্যাটারি কিনে আনতে আমার খরচ পড়বে ৮ হাজার টাকা! যেখানে আমি ১২ হাজার টাকায় নতুন মডেলের আইপড ন্যানো কিনতে পারছি!
৭) সীমিত ফিচার:
বাজারে নতুন ফিচারের গেজেট আসলে সেগুলো কেনার জন্য আগ্রহ সবারই থাকে। কিন্তু এই সব নতুন ফিচারের গেজেটে বর্তমানে বাজারের অনান্য যেসব ফিচার পাওয়া যায় সেগুলোর উপর নির্মাতারা তেমন গুরুত্ব দেন না। যেমন প্রতি বছর বছর আইফোনের উন্নত সংস্করণ বাজারে এলেও অনেক দিন পর্যন্ত আইফোনের ক্যামেরা পিক্সেল কোয়ালিটি একই ধরণের থেকে যায়। আবার দেখুন, আইফোন ৫এস এর ক্যামেরা কোয়ালিটি আইফোন ৬ এর থেকেও ভালো! কারণ কি? কারণ হচ্ছে আইফোন ৭ এ চমকপ্রদক ক্যামেরার ব্যবস্থা করে আইফোন ৭ এর বিক্রি বাড়ানো। এটিও এক ধরণের কৌশল!
৬) পরিকল্পিত জীবনায়ু:
আমরা অনেকেই মনে করি আমাদের গেজেট কতদিন চলবে সেটা আমাদের ব্যবহারের উপর নির্ভর করে। আমরা যত কেয়ারফুল ভাবে ইলেক্ট্রনিক গেজেট ব্যবহার করবো ঠিত ততদিন গেজেটটি টেকসই হবে। কিন্তু এই সত্যটিকে কৌশলে পরিকল্পিত জীবনায়ুর মাধ্যমে ম্যানুফেকচার কোম্পানিগুলো তাদের নতুন গেজেটের বিক্রির উপায় বের করে নিচ্ছেন। যেমন একটি ব্যাটারি কেনার সময় তার ম্যানুয়ালে লেখা থাকে যে, ব্যাটারিটি ২০০০ ঘন্টা পর্যন্ত ভালো সার্ভিস দিবে।
কিন্তু বেশির ভাগ সময়ে দেখা যায় ব্যাটারি এর থেকেই বেশি সময় ধরে ভালো সার্ভিস দিচ্ছে আপনার ব্যবহারের উপর। তবে ম্যানুয়ালে এই ২০০০ ঘন্টার ওয়ার্নিংটি অনেকের কাছেই গেজেটের জীবনায়ু বলে মনে করেন। তাই ২০০০ ঘন্টার পর ব্যাটারি ভালো সার্ভিস দিলেও ব্যবহারকারী মনে খুত খুত থেকে যায় ভবিষৎতের ভালো সার্ভিসের উপর এবং ফলাফল স্বরুপ তিনি নতুন গেজেট কিনে নিয়ে আসেন।
৫) চকচক করলেই সোনা হয় না!! :
লোল! হেডিংটা অন্যরকম হয়ে গেল! যাই হোক যেটা বলতে চাচ্ছি যেটা হলো, আজকাল ইলেক্ট্রনিক গেজেটগুলো বক্স থেকে বের করার কিছুদিনের মধ্যে পুরাতন ভাব চলে আসে। বিভিন্ন ধরণের স্ক্র্যাচ, রং উঠে যাওয়া, খসখসে ভাব আসার কারণে নতুন গেজেট গুলো বেশিদিন নতুন চাকচিক্য ধরে রাখতে পারে না।
ফলাফল স্বরুপ অনেকেই পুরাতন হয়ে যাওয়া গেজেটগুলো ফেলে দিয়ে নতুন গেজেট কিনে নেন। এটিও এখন বিক্রির একটি কৌশল। বর্তমান যুগের গেজেট গুলো এমন ভাবেই ডিজাইন করা হয়, যাতে সেগুলো কম সময়ের জন্য ব্র্যান্ড নিউ ভাব ধরে রাখে।
৪) গরম! :
ইলেক্ট্রনিকস পণ্যগুলোর একটি শত্রু হচ্ছে Heat বা গরম! একটি হার্ডওয়্যার যত বেশি হিট হবে ঠিক ততই ডিভাইসটির ক্ষয় হবে। আর এই কৌশলে কাজে লাগিয়ে ম্যানুফেকচার প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের হার্ডওয়্যারগুলোতে ডিজাইন এমন ভাবে করেন যেখানে হিট সেন্সিটিভ ক্যাপাসিটরগুলো সার্কিট বোর্ডের গরম এরিয়াতে বাসানো থাকে। ফলাফল স্বরুপ বোর্ড গরম হলে ক্যাপাসিটরে সরাসরি গরমের ক্ষতি হয়। আর কাস্টমাররা হার্ডওয়্যার নস্ট হয়ে গেলে সেগুলো রিপেয়ারের থেকে নতুন কিনে নিতে প্রাধান্য দিয়ে থাকেন বেশি। মাঝখানে কোম্পানি লুফে নেয় মুনাফা!
৩) কম্পাটিবিলিটি ইস্যু:
নতুন নতুন সফটওয়্যারের মার্কেটিং স্ট্যাটেজির অন্যতম একটি স্ট্যাটেজি হলো এই Compatibility ইস্যু! পুরাতন সফটওয়্যারে নতুন সফটওয়্যারের ফাইল চলবে না, তাই নতুন সফটওয়্যার কিনতে হবে – এই কৌশল কে কাজে লাগিয়ে বর্তমান যুগের সফটওয়্যার নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের নতুন নতুন সফটওয়্যারগুলোকে compatibility ইস্যু কে নিয়ে ফন্দি করে রেখেছেন।
শুধু সফটওয়্যার নয়, নতুন নতুন হার্ডওয়্যারগুলোতেও এই কম্পাটিবিলিটি জিনিসটা আজকাল অনেক দেখা যাচ্ছে। মাইক্রোসফট অফিসের কথাই ধরুণ: মাইক্রোসফট অফিসের ২০০৭ বা নতুন সংস্করণের ফাইলগুলো .docx / .xlsx ফরমেটের করা হয়েছে, আর এই ফরমেটের ফাইলগুলো মাইক্রোসফট অফিসের পুরাতন সংস্করণগুলোতে ওপেন করা যাবে না! তখন ব্যবহারকারীকে নতুন সংস্করণের সফটওয়্যার কিনে নিতেই হয়!
২) স্টাইল পরিবর্তন:
বর্তমান যুগের গেজেট ব্যবসায় স্টাইল হচ্ছে একটি গুরুর্ত্বপূর্ণ দিক বা বিষয়। আজকালকার ইলেক্ট্রনিক গেজেটের অধিকাংশ ব্যবহারকারীরা তরুণ বয়সের হয়ে থাকেন। তাদের কাছে গেজেটের স্টাইলটি অনেক প্রভাব ফেলে থাকে। নতুন নতুন স্টাইলের গেজেট বাজারে এনে তরুণ ব্যবহারকারীদেরকে এগুলো কেনার জন্য উদ্বুদ্ধ করা হয়ে থাকে। যেখানে তাদের পুরাতন গেজেটটি ফুল ফাংশনাল কিন্তু শুধুমাত্র স্টাইল পুরাতন হয়ে গেছে বিধায় অনেকেই যুগের স্টাইলের সাথে তাল মেলাতে নতুন পণ্য কিনে থাকেন। এটিও এক ধরণের কৌশল।
১) ওয়ারেন্টি:
কোনো গেজেটের ওয়ারেন্টি সার্ভিসের জন্য তার রিসিপ্ট পেপারটি দলিল হিসেবে কাজ করে। রিসিপ্ট ছাড়া কোনো কোম্পানিই ওয়ারেন্টি সার্ভিস দিবে না। ব্যবহারকারীকে অবশ্যই ওয়ারেন্টি রশিদকে ভালোভাবে যত্ন করে রাখতে হয় এবং দরকারের সময় সেটা খুঁজে পেতেও হয়। আবার অনেক সময় রিসিপ্ট থাকা স্বত্বেও ওয়ারেন্টি সার্ভিস প্রদানে ম্যানুফেকচার কোম্পানিগুলো হেলাফেলা করে থাকেন।
স্বভাবতই ওয়ারেন্টি সার্ভিসে ব্যবহারকারী বেশি সময় খরচ করে সার্ভিস নিতে চায় না ফলাফল স্বরুপ তিনি নতুন পণ্য কিনে নেওয়াকে কম ঝামেলা মনে করেন। তাই অনেক ব্যবহারকারী পন্য কেনার সময় ওয়ারেন্টি রশিদ নিয়ে থাকেন না এই ঝামেলার কারণে। আর এই কৌশলে ম্যানুফেকচার কোম্পানিগুলো তাদের নতুন পণ্য বিক্রির উপায় বের করে রাখেন।
টিউনের শুরুতে যেটা বলেছিলাম, চীনা পন্যগুলো দামে কমিয়ে এনে ওয়ারেন্টি বিহীন বিক্রির ব্যবস্থা করায় আজকাল এই জাতীয় পন্যগুলো ব্যাপক বিক্রি হচ্ছে। কারণ কমদামী গেজেটের জন্য ব্যবহারকারীরা সাধারণত ওয়ারেন্টির চিন্তা করেন না। নস্ট হয়ে গেলে কম দামে নতুন কিনতে পারলে শুধু শুধু ওয়ারেন্টির ঝামেলায় কেউ পড়তে চান না। এটিও এক ধরণের বিক্রি কৌশল!
order generic lipitor 80mg buy lipitor generic lipitor 20mg pills
atorvastatin price order lipitor 80mg purchase atorvastatin online cheap
buy ciprofloxacin 500mg online – order cipro 1000mg generic amoxiclav price
cost cipro – order augmentin 375mg amoxiclav cost
buy pill generic retrovir – glucophage 500mg sale buy generic allopurinol online
purchase glycomet online cheap – order epivir generic lincocin 500 mg pills
retrovir 300 mg canada – buy zyloprim
clozapine over the counter – purchase coversyl pill pepcid online order
cheap seroquel 50mg – buy generic seroquel 50mg eskalith pills
buy clozapine 50mg online – buy ramipril no prescription pepcid online order
quetiapine brand – desyrel 100mg ca buy eskalith without prescription
purchase clomipramine online cheap – paxil 10mg canada doxepin over the counter
atarax order – buy amitriptyline 10mg generic endep 25mg over the counter
clomipramine 25mg price – purchase asendin online order sinequan for sale
cheap atarax – buspar 5mg over the counter endep drug
cheap amoxicillin pills – keflex where to buy ciprofloxacin order
buy clavulanate cheap – order augmentin 375mg generic purchase cipro generic
buy generic amoxil over the counter – purchase trimox sale ciprofloxacin uk
buy clavulanate paypal – acillin without prescription buy ciprofloxacin 500mg generic
order cleocin online – order cefixime 100mg sale chloromycetin generic
buy azithromycin sale – purchase zithromax pill how to get ciprofloxacin without a prescription
order cleocin 150mg generic – cleocin 150mg cost purchase chloromycetin online
zithromax pill – buy ciprofloxacin 500 mg sale ciprofloxacin over the counter
ivermectin 12 mg without a doctor prescription – eryc 250mg canada order cefaclor sale
albuterol 4mg for sale – buy theophylline 400mg online buy theophylline generic