সফটওয়্যার দিয়ে তথ্য চুরি!

7
568

বিশ্বের নামকরা বেশ কিছু ওয়েবসাইট ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করে বলে জানিয়েছেন প্রিন্সটন বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা।

যে সফটওয়্যারের মাধ্যমে ওয়েবসাইটগুলো এই পর্যবেক্ষণ করে থাকে তার নাম তারা দিয়েছেন ‘সেনসেশন রিপ্লাই’। ব্যবহারকারীদের অগোচরে এ ধরণের সফটওয়্যার ব্যবহারের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন সাইবার সিকিউরিটি বিশেষজ্ঞরা।

সফটওয়্যারটির মাধ্যমে ওয়েবসাইটগুলো ব্যবহারকারীদের কিবোর্ডের বাটন টেপা, মাউসের নড়াচড়া ও স্ক্রল করার ধরণ সম্পর্কে তথ্য জমা করে থাকে। শুধু তাই নয়, ব্যবহারকারীরা যে সব পেইজে ঢোকে সে সংক্রান্ত তথ্যগুলো থার্ড পার্টি সার্ভারে পাঠিয়ে দেয়।

যেসব পেইজের তথ্য সার্ভারে পাঠানো হয় তার মধ্যে ব্যবহারকারীর মেডিকেল কন্ডিশন, ক্রেডিট কার্ডের বিস্তারিত  এবং অন্যান্য স্পর্শকাতর ব্যক্তিগত তথ্যও থাকতে পারে।

‘সেনসেশন রিপ্লাই’ সফটওয়্যারটি প্রস্তুতকারী সাত ফার্মের নাম প্রকাশ করেছে গবেষকরা। ফার্মগুলো হলো ফুল স্টোরি, সেনসেশনক্যাম, ক্লিকটেল, স্মার্টলুক, ইউজার রিপ্লাই, হটজার ও ইয়ানডেক্স।

গবেষণায় নাম আসা  ৪৮২ ওয়েবসাইটের প্রতিটিই এই সাত সফটওয়্যারের যেকোনো একটি ব্যবহার করে থাকে।

এই সফটওয়্যার ব্যবহার করার তালিকায় সংবাদ মাধ্যম দ্য টেলিগ্রাফ, রয়টার্স, সিএসবি নিউজ, আলজাজিরা, ওয়ার্ডপ্রেস ডটকম ও স্যামসাংয়ের মতো নামীদামী প্রতিষ্ঠানগুলোরও নাম আছে।

এবিষয়ে ট্রিপওয়্যার সিকিউরিটি ফার্মের পরিচালক পল এডন বলেছেন, যদি প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের এই কর্মকাণ্ডের ব্যাপারে ব্যবহারকারীদেরকে সতর্ক না করে তাহলে আমি একে আইনবহির্ভূত কার্যক্রম বলেই আখ্যায়িত করবো। ব্যবহারকারীর অজান্তে তাদের সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করাটা অনৈতিক।

তবে এই অনাকাঙ্ক্ষিত নজরদারি এড়িয়ে চলতে ব্যবহারকারীদেরকে অ্যাড ব্লকিং টুল ব্যবহার করার পরামর্শ দিয়েছেন সাইবার বিশেষজ্ঞরা। এটি ওয়েবসাইটগুলোকে তথ্য সংরক্ষণ করতে বাধা প্রদান করবে।

সূত্রঃ দ্য নেক্সট ওয়েব

7 COMMENTS

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here