২০১৪ সালের সেপ্টেম্বরে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে প্রথম টেস্টে প্রশ্নবিদ্ধ হয় আল আমিনের বোলিং অ্যাকশন। একই বছরের নভেম্বরে চেন্নাইয়ে আইসিসির পরীক্ষাগারে বোলিং অ্যাকশনের পরীক্ষা দিয়ে মেলে ছাড়পত্র। আবারও প্রশ্ন উঠেছে আল আমিনের বোলিং অ্যাকশন নিয়ে।
২৮ নভেম্বর চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে খুলনা টাইটানস ইনিংসের ১৫তম ওভারের আরিফুল হককে করা দ্বিতীয় বলটা নিয়ে সন্দেহ হয় মাঠে থাকা আম্পায়ারদের। পরে তাঁরা আনুষ্ঠানিকভাবে জানান আল আমিনের বোলিং অ্যাকশন নিয়ে রিপোর্ট করেন।
বোলিং অ্যাকশন নিয়ে প্রশ্ন উঠলেও আপাতত বিপিএল চালিয়ে যেতে সমস্যা নেই আল আমিনের। দুই সপ্তাহের মধ্যে তাঁকে বিসিবির বোলিং অ্যাকশন রিভিউ কমিটির কাছে রিপোর্ট করতে হবে। তার আগে খেলা চালিয়ে যেতে পারবেন। তার মানে ১২ ডিসেম্বর বিপিএলের ফাইনাল তাঁর দল কুমিল্লা যদি ফাইনালেও ওঠে, খেলতে বাধা নেই।
বিপিএলের টেকনিক্যাল কমিটির চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস প্রথম আলোকে বললেন, ‘ওর একটা বলে সমস্যা হয়েছে। আমাদের যে বোলিং অ্যাকশন রিভিউ কমিটি আছে, সেখানে রিপোর্ট করে তাকে পরীক্ষা দিতে হবে। পরীক্ষায় যদি কনুইয়ের বাঁক বৈধ ১৫ ডিগ্রির মধ্যে থাকে, তাহলে সমস্যা নেই। এর চেয়ে বেশি থাকলে পুনর্বাসনপ্রক্রিয়ার মাধ্যমে সংশোধন হয়ে আসতে হবে। সংশোধন না হওয়া পর্যন্ত সে কোথাও খেলতে পারবে না।’
ঘরোয়া ক্রিকেটে বোলিং অ্যাকশন নিয়ে প্রশ্ন ওঠা যদিও নতুন নয়। গত বিপিএলে প্রশ্ন উঠেছিল আরাফাত সানি ও কেভন কুপারের বোলিং অ্যাকশন নিয়ে।